কাল শুরু হচ্ছে বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলন

কাল শুরু হচ্ছে বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলন

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকার পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের শুরু হবে। শেষ হবে ২৭ এপ্রিল। সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সোমবার ঢাকায় এসে পৌঁছেন।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা জানান, প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালকবৃন্দ, বিজিবি সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসারবৃন্দ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সার্ভে অব বাংলাদেশ এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করবেন। একই সঙ্গে সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) পরিচালিত ‘বিএসএফ ওয়াইভস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ (বিডব্লিউডিব্লউএ) চার সদস্যের প্রতিনিধিদল বিজিবি পরিচালিত ‘সীমান্ত পরিবার কল্যাণ সমিতির’ (সীপকস্) বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করবেন।

সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় পিলখানায় বীরউত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলায়তনে বিজিবি-বিএসএফ প্রীতি কাবাডি ম্যাচের আয়োজন করা হয়। বিজিবি মহাপরিচালক ও বিএসএফ মহাপরিচালকসহ উভয় দেশের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এই প্রীতি কাবাডি ম্যাচ উপভোগ করবেন।

এবারের সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি, হত্যা, আহত করা, বাংলাদেশি নাগরিকদের অপহরণ, আটক, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম, অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাচার, সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, হেরোইন এবং ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের চোরাচালান, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ, আখাউড়া আইসিপির ভারতীয় অংশে ইটিপি স্থাপন এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হবে। বৈঠক শেষে আগামী ২৬ এপ্রিল সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরিত হবে। বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সুসম্পর্ক ও সৌহার্দ্য আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারতীয় প্রতিনিধিদল দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবেন।

এছাড়া আগামী ২৭ এপ্রিল বিকাল তিনটার সময়ে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা আইসিপিতে বিজিবি মহাপরিচালক ও বিএসএফ মহাপরিচালক যৌথভাবে উভয় বাহিনীর জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনি উদ্বোধন করবেন এবং একই দিনে ভারতীয় প্রতিনিধিদল স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment